ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম

ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম

ইউটিউব হলো একটি ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম | তিনজন পেপাল কর্মচারী চেড হার্লি ,স্টিভ চেন ও বাংলাদেশী বংশোদ্ভাত জাওয়াদ সহ তিনজন মিলে ২০০৫ সালে ইউটিউব প্রতিষ্ঠা করেন | এর জনপ্রিয়তা এবং ভিডিও শেয়ারিং এর জনপ্রিয়তা বাড়তে দেখে ২০০৬ সালে গুগল ১.৬৫ বিলিয়ন ডলারের পরিবর্তে ইউটিউব কিনে নেয় |

ইউটিউব কি ? কে বা কারা তৈরি করেছে ?

ইউটিউব হলো একটি ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম |  তিনজন পেপাল কর্মচারী চেড হার্লি, স্টিভ চেন ও বাংলাদেশী বংশোদ্ভাত জাওয়াদ সহ তিনজন মিলে ২০০৫ সালে ইউটিউব প্রতিষ্ঠা করেন |  এর জনপ্রিয়তা এবং ভিডিও শেয়ারিং এর জনপ্রিয়তা বাড়তে দেখে ২০০৬ সালে গুগল ১.৬৫ বিলিয়ন ডলারের পরিবর্তে ইউটিউব কিনে নেয় |

ইউটিউব চ্যানেল কি

ইউটিউব চ্যানেল হচ্ছে ভিডিও শেয়ার ও দেখার ওয়েবসাইট, যাতে পৃথিবীর সকল প্রান্ত থেকে সব ভাষার ভিডিও আপলোড হয়ে থাকে। এটা সম্পুর্ণ ফ্রি। আর এইসব ভিডিও ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে আপলোড করতে হয়। যারা ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করে তাদেরকে ইউটিউবার বলা হয়ে থাকে।

বর্তমানে ইউটিউব এ ভিডিও আপলোড এর মাধ্যমে আয় করাকে পেশা হিসেবে নেয়া হচ্ছে। তাই বলা যায়, যে মাধ্যম ব্যবহার করে ইউটিউব এ ভিডিও আপলোড করা হয় তা ইউটিউব চ্যানেল হিসেবে পরিচিত। আরো সহজ করে বলা যায়, আমরা প্রতিনিয়ত ইউটিউবে যে ভিডিও দেখি তা কোন না কোন চ্যানেল এর অধীনে আপলোড হয়ে থাকে। চ্যানেল ছাড়া ইউটিউব এ ভিডিও আপলোড করা যায় না।

ইউটিউব চ্যানেল খোলার পূর্বে করণীয় এবং সতর্কতা কী?

এটির আসল উত্তর ছিল: ইউটিউব চ্যানেল খোলার পূর্বে করণীয় এবং সতর্কতা?

১. ভিডিও তৈরীর সঠিক বিষয়টি নির্বাচন করুন.

২. একটি প্রফেশনাল জিমেইল একাউন্ট খুলুন.

৩. ‍প্রফেশনাল মানের লোগো এবং ব্যানার তৈরী করুন.

৪. সঠিক ট্যাগ ব্যাবহার করুন.

৫. অন্যান্য সোস্যাল সাইটেও প্রফেশনাল একাউন্ট খুলে চ্যানেল প্রমোট করুন.

ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম : কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবো?

ইউটিউবের দুই ধরনের চ্যানেল (YouTube Channel) অপশন রয়েছে: পার্সোনাল ইউটিউব চ্যানেল এবং ব্র্যান্ড একাউন্ট। চ্যানেল আর্ট, মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি, পরিচালনা পদ্ধতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে দুই ধরনের চ্যানেল ভিন্ন ভিন্নভাবে কাজ করে।

পার্সোনাল ইউটিউব চ্যানেল ব্যক্তিগতভাবে পরিচালনা করা হয় এবং সাধারণত এককভাবে ব্যক্তির কন্টেন্টকে রিপ্রেজেন্ট করে। অন্যদিকে ব্র্যান্ড একাউন্ট বিজনেস, অর্গানাইজেশন অথবা কোনো ব্র্যান্ডের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং সেই পুরো ব্র্যান্ডের কন্টেন্টকে রিপ্রেজেন্ট করে। এক্ষেত্রে একটি ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে একাধিক ইউটিউব চ্যানেলকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং একাধিক ব্যক্তি একাউন্ট পরিচালনার কাজে নিয়জিত থাকতে পারেন।

কন্টেন্ট ও উদ্দেশ্যর ওপর ভিত্তি করে পার্সোনাল চ্যানেল বা ব্র্যান্ড একাউন্ট খোলা হয়। সাধারণত ইউটিউব মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড একাউন্টই গ্রহণযোগ্য। ইউটিউব ব্র‍্যান্ড একাউন্ট বা চ্যানেল খোলার নিয়মগুলো দেখে নিন:

১) আপনার গুগল একাউন্টে সাইন-ইন করুন:

ইউটিউবে ভিডিও (YouTube video) দেখা, শেয়ার করা বা কন্টেন্ট তৈরির জন্য প্রথমেই গুগল একাউন্ট থাকা প্রয়োজন। গুগল একাউন্টের মাধ্যমে ইউটিউব তার ব্যবহারকারীকে ভেরিফাই (YouTube verify) করে নেয়। একাউন্ট খুলতে প্রথমেই www.youtube.com এই সাইটে গিয়ে ওপরে, ডান পাশে ‘সাইন ইন’ এ ক্লিক করলে গুগল সাইন ইন পেইজে নিয়ে যাবে:

আপনার ইতিমধ্যে গুগল একাউন্ট থাকলে সাইন ইন করুন।

একাধিক গুগল একাউন্ট থাকলে, যে একাউন্টটি ইউটিউব একাউন্টের সাথে যুক্ত রাখতে চান সেটি সিলেক্ট করুন।

আপনার যদি গুগল একাউন্ট না থাকে তাহলে ‘Create Account’ অপশনটি সিলেক্ট করে পরবর্তী ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

 

ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম

Step 2 :

ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম
ইউটিউব এ লগইন করার পর ইউটিউব এর ড্যাসবোর্ড আপনার সামনে আসবে। যার ডান পাশে প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনার সামনে কতগুলো অপশন আসবে। তখন‍ “Setting” অপশনে এ ক্লিক করার মাধ্যমে আপনি ইউটিউব চ্যানেল খোলার কাজ শুরু করবেন। এখন আপনি নতুন একটা পেজ পাবেন। যাতে “Your Channel” অপশন দেখা যাবে। ঠিক তার নিচে তিনটি অপশন দেখতে পাবেন। আর তা হলো-
  • Channel Status and Features
  • Create a New Channel
  • View Advanced Settings
তখন “Create a New Channel” অপশনে ক্লিক করলে “Create Your Channel Name” অপশন আসবে। সেখানে আপনার চ্যানেলের নাম দিতে হবে। নাম দেয়ার পরে ক্লিক করলেই আপনার ইউটিউব চ্যানেল তৈরি হয়ে যাবে। আপনি নাম হিসেবে আপনার নামে অথবা আপনি যে নাম দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে চান তা দিতে পারেন। এটা মূলত ব্র্যান্ড এর নামে হয়ে থাকে।
Note : চ্যানেলের নাম দেওয়ার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন Handle নাম Available আছে কিনা। যদি আপনার চ্যানেলের নামটি Handle নাম হিসেবে Available থাকে তাহলে Handle এর পাশে সবুজ রঙের ঠিক চিহ্নি থাকবে, যেমনটি আপনার উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন।

Step 3 : আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি কাস্টমাইজ করে নিন

ইউটিউব চ্যানেল খোলা শেষ হলে এবার চ্যানেলটি কাস্টমাইজ করে নেয়ার পালা। 

  • চ্যানেল ড্যাশবোর্ডে গিয়ে Customize channel” অপশনে ক্লিক করুন। 
  • Layout, Branding এবং Basic Info: এই তিনটি ট্যাবে গিয়ে আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে তথ্য প্রদান করুন। এতে অডিয়েন্স আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে বেসিক তথ্যগুলো জানতে পারবে। 
  • তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে এমন কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন যা সাধারণত সার্চ করলে আসে।
  • “Branding” ট্যাবে গিয়ে আপনার চ্যানেলকে আকর্ষণীয় ও অনন্য করে তুলবে এমন আইকন ও চ্যানেল আর্ট আপলোড করুন। অবশ্যই আপনার ব্র্যান্ড এবং তার উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ আইকন, লোগো বা আর্টকে বেছে নিন। 

আপনি চাইলে আপনার ব্র্যান্ডের জন্য একাধিক ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করতে পারবেন। ইউটিউব সেটিংস এর ব্র‍্যান্ড একাউন্ট ড্যাশবোর্ড থেকে আপনি আপনার ব্র‍্যান্ডের সবগুলো ইউটিউব চ্যানেল ম্যানেজ করতে পারবেন।

মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম :

সাধারণত ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ এ ইউটিউব চ্যানেল খোলা সহজ। কিন্তু বর্তমানে মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল খোলা যায়। এখন আমরা মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম সম্পর্কে জানবো।
মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য ক্রোম ব্রাউজার এ গিয়ে “Desktop Mode” অন করতে হবে। তারপর সাধারণ ইউটিউব চ্যানেল যেভাবে খোলা হয়ে থাকে তা অনুসরণ করতে হবে। সবগুলো ধাপ আমরা উপরে বর্ণনা করেছি। উল্লেখিত ধাপ অনুসরণ করেই মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল খোলা যায়।
এছাড়া ইউটিউব অ্যাপ এর মাধ্যমে মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল খোলা যায়। যদি্ও তা দিয়ে বৃহৎ পরিসরে কোন চ্যানেল তৈরি ও ম্যানেজ করা যাবে না। স্বল্প কাজে ব্যবহার করার জন্য মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল খোলা যেতে পারে।
সে জন্য আপনাকে ইউটিউব অ্যাপে জিমেইল আইডি পাস্ওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে। অতপর প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করে “Your Channel” অপশনে ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনার ইউটিউব চ্যানেল তৈরি হয়ে যাবে। সেটিংস অপশনে গিয়ে আপনার মতো করে তা পরিবর্তন করতে পারবেন।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *