ভিসা একটি অনুমতি পত্র যা একটি দেশ কোন বিদেশি নাগরিককে ওই দেশে প্রবেশ করার জন্য দিয়ে থাকে। ভিসা ছাড়া ভিন্ন দেশে প্রবেশ করা বা অবস্থান করা সম্পূর্ণ নিষেধ সেটি পুরোপুরি অবৈধ। কেউ যদি ভিসা ছাড়া অন্য দেশে প্রবেশ করতে গিয়ে ধরা পরে তার জন্যে জেল – জরিমানা নিশ্চিত।
পাসপোর্ট বা ট্রাভেলিং পারমিটের কয়েকটি পাতায় লিখে, সীল দিয়ে বা স্টিকার লাগিয়ে ভিসা প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রত্যেকটি দেশে প্রতিষ্ঠিত বিদেশী দূরতাবাস ভিসা প্রদান করে থাকে। এই ভিসা প্রদান করার জন্য প্রত্যেক দূতাবাস গুলোতে কনস্যুলার শাখা থাকে। দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ভিত্তিতে ভিসা ওয়েভার এর নীতি থাকে। যে ক্ষেত্রে দুটি দেশ পরস্পরের জন্য ভিসা স্থহিত বা বন্ধ রাখতে পারে।
সারা বিশ্বের অনেক দেশ রয়েছে যাদের ওয়েভার চুক্তি রয়েছে। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেনের মধ্যে ভিসা ওয়েভার চুক্তি থাকার কারণে, ভিসা ব্যাতিত এক দেশ থেকে অন্য দেশে সহজে ভ্রমন করতে যেতে পারে
ভিসা ৮ প্রকার যেমন:
- ব্যবসায়িক / পর্যটন ভিসা
- ছাত্র/ ভিসা
- কর্ম ভিসা
- এক্সচেঞ্জ ভিসিটর ভিসা
- ট্রান্সিট / ক্রিউ ভিসা
- গৃহ কর্মী ভিসা
- ধর্মীয় কর্মী ভিসা
- সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিক ভিসা
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক
আপনি তো এটা অবশ্য জানেন আপনাকে বিদেশ গমনে বৈধভাবে যেতে চাইলে অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট এবং ভিসার প্রয়োজন পড়বে। তো এখন যদি আপনি একটা ভিসা করিয়েছেন বিভিন্ন দালালের মাধ্যমে। তো এখন চিন্তা করেন তো! সেই ভিসাটা আদৌ কি বৈধ নাকি অবৈধ।
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক নিয়ম :
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে সৌদি ভিসা চেক
- Passport Number : পাসপোর্ট নং লিখুন।
- Current Nationality : নিজের দেশের নাম সিলেক্ট করুন।
- Visa Type : যে কাজের উদ্দেশ্য ভিসা লাগিয়েছেন সেটা সিলেক্ট করুন।
- Visa Issuing Authority : বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সিলেক্ট করুন।
- Image Code : ইমেজে ক্যাপচা কোড লিখুন।
- শেষে Search অপশনে ক্লিক করলে ভিসা চেক করে নিতে পারবেন।
বিশ্বের সকল দেশ এর ভিসা চেক এর লিংক:
প্রত্যেকটি বিষয় নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য দেওয়া হয়। সাধারণত ভিসা প্রদানের পর সর্বশেষ কোন তারিখের মধ্যে ওই দেশের প্রবেশ করা যাবে সেটা ভিসায় উল্লেখিত থাকে।
অপরদিকে বৈধ পদ্ধতিতে ভিসা (Visa) নিয়ে প্রবেশের পর কতদিন পর্যন্ত বিদেশে অবস্থান করা যাবে তার বিষয়ে ভিসায় উল্ল্যেখ করা থাকে।আবার কিছু কিছু Visa রয়েছে যেগুলো একবার প্রবেশ, দুইবার প্রবেশ এবং বহুবার প্রবেশ করার জন্য দেওয়া হয়ে থাকে।
তাহলে, আমরা বুঝতে পারলাম প্রত্যেকটি ভিসার নিদিষ্ট একটি মেয়াদ থাকে। উক্ত মেয়াদ শেষে ভিসা আবার রিনিউ বা মেয়াদ বাড়াতে হয়।