কম্পিউটার ভাইরাস কী? এর প্রকারভেদ, লক্ষণ ও প্রতিকার

কম্পিউটার ভাইরাস কী? এর প্রকারভেদ, লক্ষণ ও প্রতিকার

হঠাৎ একদিন কম্পিউটারে সমস্যা দেখা দিল! হয়তো সিস্টেম Error দেখাচ্ছে, নতুবা স্কিনে অপ্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছা, অথবা অটোমেটিক কোনো সফটওয়্যার ইন্সটল হয়ে যাচ্ছে! তখনি আপনার মাথায় সর্বপ্রথম যে চিন্তাটি আসে তা হলে, ‘কম্পিউটারে ভাইরাস ঢুকলো নাকি?’ আসুন জানা যাক কম্পিউটার ভাইরাস কী? এর প্রকারভেদ, লক্ষণ ও প্রতিকার! না পড়লে মিস করবেন…

কম্পিউটার ভাইরাস কি?

ভাইরাস হল এমন একটি প্রোগ্রাম যা একটি ধ্বংশকারী/সন্ত্রাসী হিসেবে নিজেকে (অর্থাৎ এর “এক্সিকিউটেবল” অংশকে) অন্যান্য প্রোগ্রামের সাথে সংযোগ করে সংক্রমণ ঘটায় এবং ধ্বংশযজ্ঞ চালায়। কম্পিউটারের পরিভাষায় ভাইরাস (VIRUS) শব্দটি ভাঙলে পাওয়া যায় ‘ভাইটাল ইনফরমেশন রিসোর্সেস আন্ডার সিজ (Vital Information Resources Under Seize)’ অর্থাৎ গুরুত্বপূর্ণ উৎসগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রখ্যাত গবেষক ‘ফ্রেড কোহেন’ ভাইরাসের নামকরণ করেন।

ভাইরাসের ইতিহাস পর্যালোচনা

১৯৮৬ সালে পাকিস্তানের দুই প্রোগ্রামার আমজাদ ও বাসিত উপলদ্ধি করল ফ্লপি ডিস্কের বুটসেক্টর executable কোড ধারণ করে এবং এ কোড কম্পিউটার চালু করলেই রান করে যদি ড্রাইভে ডিস্ক থাকে। তারা আরও উপলদ্ধি করে, এ কোড তাদের নিজস্ব প্রোগ্রাম (কোড) দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয় যা মেমোরি রেসিডেন্ট প্রোগ্রাম হতে পারে এবং যা নিজের কপি তৈরি করতে সক্ষম। প্রোগ্রাম নিজের অনুলিপি তৈরি করতে পারে বলে তারা এর নাম দেয় ‘ভাইরাস’। কিন্তু এটি শুধুমাত্র ৩৬০ কিলোবাইট ফ্লপি ডিস্ককে সংক্রমিত করে।

১৯৮৭ সালে University of Delaware অনুভব করল তাদের কম্পিউটার এ ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত। যখন কম্পিউটার শুরু করে ফ্লপি ডিস্কের লেবেল ‘(c) Brain’ দেখতে পেল। এটিই প্রথম ভাইরাসের আক্রমণ এবং এটি ডঃ সলেমন পযাবেক্ষণ করেন। এ ভাইরাসের উপস্থিতি প্রথম উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈকা কম্পিউটার কর্মী দেখে একে ভাইরাস বলে মনে করেন এবং ডিস্ক থেকে ডেটা পুনরুদ্ধারের কাজে নিমগ্ন ডঃ সলেমনের কাছে যান। ডঃ সলেমন একে বিশ্লেষণ করেন এবং এভাবে তিনি এন্টিভাইরাস ব্যবসায়ে আসেন।

ইতিমধ্যে ১৯৮৬ তে Ralf Burger নামক এক প্রোগ্রামার উপলদ্ধি করল, একটি ফাইল আরেকটি ভাইলের সংযুক্তিতে নিজে নিজের অনুলিপি (কপি) তৈরি করতে সক্ষম। তিনি এর উপর একটি ডেমোনেস্ট্রেশন লিখেন যাকে Virdem বলা হয়। তিনি এটি Chaos Computer Club এ বিতরণ করেন ডিসেম্বরের কনফারেন্সে যেটির Theme ছিল ভাইরাস সম্পর্কে। Virdem যেকোন com ফাইলকে আক্রান্ত করতে পারে। এর পে-লোড ভীতিকর নয়। এ ব্যাপারে Ralf খুব বেশি উৎসাহি হয়ে এ সম্পর্কিত একটি বই লেখেন। Ralf বুট সেক্টর ভাইরাস নিয়ে কোন চিন্তা করেন নি, তাই এ সম্পর্কে বইতে কিছু বললেন নি।

১৯৮৭ সালে Charlie, Vienna নামক ভাইরাসের উপন্থিতি লক্ষ্য করা যায়, যা মেশিনকে হ্যাং বা রিবুট করে দেয়। ইতিমধ্যে ইসরাইলের তেলআবিতে অন্য একজন প্রোগ্রামার Suriv-01 নামে ভাইরাস তৈরি করে। এটি ছিল মেমোরি রেসিডেন্ট ভাইরাস কিন্তু এটি .com ফাইলকে আক্রমণ করত। তার দ্বিতীয় ভাইরাস হল Suriv-02 যা শুধু .exe ফাইলকে আক্রমণ করে এবং এটি হল পৃথিবীর প্রথম .exe ফাইল আক্রমলকারী ভাইরাস। তার তৃতীয় ভাইরাস হল Suriv-03 যা .com এবং .exe উভয় ফাইলকে আক্রমণ করে। তার চতুর্থ ভাইরাস পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে যায় এবং তা Jerosalem নামে পরিচিত হয়। এ ভাইরাস আক্রান্ত ফাইল প্রতি শুক্রবার ১৩ তারিখে চালালে ভাইরাস ফাইলকে মুছে ফেলে।

কম্পিউটারে ভাইরাসের কর্মকান্ড ও তা থেকে পরিত্রাণের উপায়

তথ্যের সমুদ্রে ভেসে বেড়াব আর কম্পিউটারে কোনপ্রকার আঁচড় লাগবে না – এটা ভাবাই যায় না। বর্তমান তথ্য-প্রযুক্তির যুগে কম্পিউটার ভাইরাস কর্তৃক আক্রান্ত না হওয়াটাই বরং অস্বাভাবিক। তাই বলে ভাইরাসের ভয়ে জালের মত সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা ইন্টারনেটেও যাওয়া বন্ধ করা যায় না কারণ ইমেইল চেক করা, ফেসবুকে স্ট্যাটাস আপডেট কিংবা বন্ধুদের পোস্টকরা কোন মেসেজ চেক, পত্রিকা পড়া এখন আমাদের দৈনন্দিন কাজের সাথে মিশে গিয়েছে। এছাড়াও আছে ইউটিউব বা নেটফ্লিক্সে মুভি, প্রয়োজনীয় ডাউনলোড ইত্যাদি। ভাইরাসকে প্রতিরোধ করা ও ধ্বংস করার জন্য কোম্পানিগুলোও বসে নেই। তারা বের করে চলছে একের পর এক অ্যান্টি-ভাইরাস, সেগুলির আবার আপডেটেড ভার্সন। তারপরেও রক্ষা হয় না, কম্পিউটার ধীরগতির হয়ে যাওয়া, হ্যাং বা ফ্রিজ হওয়া, হার্ডড্রাইভ ক্রাশ – এগুলোতো লেগেই আছে।তাই বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ভাইরাস সম্পর্কে জানাটা খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে। কথায় আছে, সমস্যা সমাধাণের আগে সমস্যাটা ভালো করে বুঝতে হবে, তারপরেই শুধুমাত্র চমৎকার একটি সমাধান পাওয়া যাবে। তাই এখানে প্রথমেই আমি ভাইরাস কি, ভাইরাসের প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করব, তারপরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করব। ভাইরাস কী এবং কেন? কম্পিউটারে ভাইরাস জীবন্ত কোন অর্গানিজম নয় কিন্ত এটি এমন একটি প্রোগ্রাম যা কম্পিউটারে জীবন্ত প্রাণীর মতই আচরণ করে।চিকিৎসাবিদ্যায় ভাইরাসের কারণে যেমন মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে, ঠিক তেমনি কম্পিউটারটিও ভাইরাসের অত্যাচারে অকেজো হয়ে যেতে পারে। তবে কম্পিউটারের এই ভাইরাস মানুষের দ্বারাই তৈরি প্রোগ্রাম। ধরা যাক, আপনার কম্পিউটারে গুরুত্বপূর্ণ একটি স্প্রেডশিট আছে এবং কম্পিউটারটি ভাইরাস কর্তৃক আক্রান্ত হয়ে আছে যা আপনি হয়তবা জানেন না। এই ভাইরাসটি নিঃশব্দে সুকৌশলে অল্প অল্প করে আপনার স্প্রেডশিটের তথ্য পাল্টে দিতে পারে এবং আপনি হয়তবা টেরই পাবেন না যতক্ষণ না বিরাট পরিবর্তন হবে এবং যখন টের পাবেন তখন হয়তবা করার কিছুই থাকবে না। আপনি হয়তবা নিয়মিত ব্যাকআপ করেন, কিন্তু ব্যাকআপে গিয়ে দেখলেন যে সেখানেও ভুল তথ্যই ব্যাকআপ হয়ে আছে। আবার ধরুন, আপনি পিএইচডির স্টুডেন্ট এবং শেষপর্যায়ে। ডেজার্টেশন প্রায় রেডি। আপনার সন্তান হয়তবা আপনার পিসিতে নূতন একটি গেইম ইনস্টল করেছে যার সাথে একটি ভাইরাসও ইনস্টল হয়ে গেছে এবং এই ভাইরাসটির কাজ হচ্ছে ফাইল মুছে দেওয়া। এক সকালে পিসি চালু করে আবিষ্কার করলেন যে, আপনার ফাইলটি পিসি থেকে গায়েব।মাথার চুল ছেঁড়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই। আবার, ইমেইলও হয়ে উঠতে পারে ভয়ানক। এমনও হতে পারে যে, আপনি পরিচিত কারো একটি ইমেইল পেলেন এবং ইমেইলটি খোলার সাথে সাথেই হয়তবা ইমেইলে সংযুক্ত একটি ভাইরাস আপনার অগোচরে কাজ করা শুরু করে দিল। এই কাজটি কিন্তু অত্যন্ত ভয়ানক হতে পারে। এটি এমন একটি ভাইরাস হতে পারে যার কাজ হল আপনার পিসি-তে কিংবা মেইল ফোল্ডারের সব ব্যক্তিগত গোপন তথ্য আপনার অ্যাড্রেস বুকে সংরক্ষিত সব ইমেইল অ্যাড্রেসে পাঠানো শুরু করে দেয়া।ভাইরাসের কর্মকান্ড অনেক। প্রকৃতি-ভেদে একেকটা ভাইরাস একেক রকমের কাজ করে। আমি এই লেখাটিতে মুলতঃ ভাইরাসকে বোঝা ও এর কবল থেকে রক্ষা পাওয়া নিয়ে আলোচনা করব, তাই ভাইরাসের বিস্তারিত ইতিহাসের দিকে যাব না। তবে ইন্টারেস্টিং কিছু বিষয় বলব। বিখ্যাত গণিতবিদ জন ভন নিউম্যান (John Von Neumann) সর্বপ্রথম ১৯৪৯ সালে একটি প্রোগ্রাম কীভাবে নিজে নিজের আরেকটি কপি তৈরি করতে পারে (self-replicating) তা সম্পর্কে বলেন যদিও তখনো কম্পিউটার ভাইরাস শব্দটির সাথে কেউই পরিচিত হন নি। তারপর সত্তর দশকের প্রথম দিকে আরপানেট-এ (ARPANET) প্রথমে ক্রিপার (Creeper) ধরা পড়ে। এটাও ছিল একটি সেলফ-রেপ্লিকেটিং প্রোগ্রাম এবং এটা লিখেন বব থমাস (Bob Thomas) ১৯৭১ সালে। তখন অপারেটিং সিস্টেম ছিল টেনেক্স (TENEX) আর ক্রিপারের কাজ ছিল অন্য একটি সিস্টেমে গিয়ে নিজের একটি কপি তৈরি করা ও একটি মেসেজ দেখানো , “I’M THE CREEPER : CATCH ME IF YOU CAN.”। এটিকে প্রতিহত করার জন্য তৈরি হয় রিপার (Reaper) যার কাজ ছিল ক্রিপার-কে মুছে ফেলা।তারপরে যেটি আলোচনা না করলেই নয় সেটি হল, পিসির প্রথম ভাইরাস তৈরি হয় পাকিস্তানের লাহোরের ফারুক ভ্রাতৃদ্বয়ের হাতে।বাসিত ফারুক আলভি (Basit Farooq Alvi ) ও আমজাদ ফারুক আলভি (Amjad Farooq Alvi) নামে দুই ভাই মিলে বুট-সেক্টর (Boot Sector) ভাইরাস ‘ব্রেন’ (Brain) লিখেন ১৯৮৬ সালে। অবশ্য তাদের মতানুযায়ী তারা এটা লিখেছিলেন সফটওয়্যার পাইরেসি রোধ করার জন্য।তারপর থেকে আজ পর্যন্ত আর থেমে থাকেনি, তৈরি হচ্ছে নূতন নূতন ভাইরাস।চলুন এবার সবরকমের ভাইরাসের সাথে পরিচিত হই।

কম্পিউটার ভাইরাস এর প্রকারভেদ:

কম্পিউটার ভাইরাসগুলিকে বিভিন্ন প্রকারে শ্রেণীবদ্ধ করা হয় এবং কিছু সাধারণ প্রকারের মধ্যে রয়েছে
  • বুট সেক্টর ভাইরাস
  • প্রোগ্রাম ভাইরাস
  • ম্যাক্রো ভাইরাস
  • হাইজ্যাকার ভাইরাস
  • ডাইরেক্ট অ্যাকশন ভাইরাস,
  • রেসিডেন্ট ভাইরাস
  • ক্যাভিটি ভাইরাস 
  • পলিমরফিক ভাইরাস।

কম্পিউটার ভাইরাস মুক্ত রাখার কিছু উপায়-

কম্পিউটারে একটি ভালো মানের এন্টিভাইরাস ইন্সটল করে রাখুন এবং ইন্টারনেট থেকে আপডেট করুন। এবং প্রতিদিন এন্টিভাইরাস দিয়ে স্কান করুন। এতে একটু সময় নষ্ট হবে কিন্তু কিম্পিউটারটি ভাইরাস মুক্ত রাখা সম্ভব হবে।

১. কম্পিউটারে একটি ভালো মানের এন্টিভাইরাস ইন্সটল করে রাখুন এবং ইন্টারনেট থেকে আপডেট করুন। এবং প্রতিদিন এন্টিভাইরাস দিয়ে স্কান করুন। এতে একটু সময় নষ্ট হবে কিন্তু কিম্পিউটারটি ভাইরাস মুক্ত রাখা সম্ভব হবে।

২. পেন ড্রাইভ, মোবাইল এবং ডিজিটাল ক্যামেরার মেমরি কার্ড কম্পিউটারে ভাইরাস আসার একটি ভালো মাধ্যম। তাই পেন ড্রাইভ ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই এন্টিভাইরাস দিয়ে স্কান করুন।

৩. কখনো পেন ড্রাইভ ডাবল ক্লিক করে ওপেন করবেন না। My Computer-এ গিয়ে অ্যাড্রেস বার (Address Bar) থেকে খুলবেন

৪. পেন ড্রাইভ-এ কি কি ফাইল রাখছেন- মনে রাখার চেষ্টা করুন। আপনার রাখা ফাইল ছাড়া অন্য ফাইল থাকলে সেটি ভাইরাস হবার সম্ভাবনা থাকে, সেকারনে অন্য ফাইলগুলি সবসময় মুছে ফেলুন।

৫. কম্পিউটার ভাইরাস মুক্ত রাখতে ভাইরাস সম্পর্কে আরও জানুন এবং ভাইরাসকে চেনার চেষ্টা করুন্।

৬. আপনার কম্পিউটারে ইন্টানেট কানেকশন না থাকলে প্রতি সপ্তাহে একবার এন্টিভাইরাস আপডেট ক্রয় করে আপনার কম্পিউটারে ইন্সটল করুন।

৭. কম্পিউটারের যে ফাইলটি আপনি চেনেন না কিংবা ফাইলটি কি তা যদি না বুঝতে পারেন, তাহলে কখনো ফাইলটিতে ক্লিক করবেন না।

৮. অপরিচিত কারো ইমেইল খুলবেন না। বর্তমানে সবচেয়ে শক্তিশালী ভাইরাসগুলি ইমেইলের মাধ্যমে কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়ছে।

৯. ইন্টারনেট থেকে কোন প্রোগ্রাম/ফাইল/ভিডিও ডাউনলোড করলে, আগে নিশ্চিত হন যে ভাইরাস নয়। তারপর ইন্সটল করুন।

১০. কম্পিউটারে ব্যবহৃত সকল প্রোগ্রাম/ফাইল/ভিডিও এর এক্সটেনশন (.doc, .docx, .mp3, .amr, .avi, .mp4, .3gp etc.) সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখুন।

১১. ফ্ল্যাশ ড্রাইভের অটোরান ভাইরাস থেকে মুক্তির উপায়

অটোরান (autorun.inf) আসলে কোন প্রকার ভাইরাস নয়। এটি ফ্ল্যাশড্রাইভের যে কোন ধরনের ফাইল বা ভাইরাসকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু করে থাকে। কিছু কিছু ভাইরাস নিজেরাই autrun.inf তৈরি করে থাকে। ফলে ফ্ল্যাশ ড্রাইভের আইকনে ডাবল ক্লিক করলেই নির্দিষ্ট ফাইল বা ভাইরাস স্বয়ংক্রিয় ভাবে কম্পিউটারে চালু হবে। তবে কম্পিউটাররের অটোরান সিস্টেম ডিজ্যাবল করা থাকলে ফ্ল্যাশড্রাইভের ভাইরাস কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হতে পারবে না। পেনড্রাইভের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ানোর হার বেশি থাকে। তাই ফ্ল্যাশড্রাইভ বা পেনড্রাউভের ভাইরাস থেকে বাঁচতে চাইলে কম্পিউটারে অটোরান সিস্টেম বন্ধ করতে হবে। এজন্য-

  • প্রথমে Start>Settings/Control Panel>Administrative Tools-এ ডাবল ক্লিক করম্নন। পর্দায় একটি উইন্ডো আসবে।
  • উক্ত উইন্ডোর Service-এ ডাবল ক্লিক করে ওপেন করম্নন। পর্দায় Service উইন্ডো আসবে।
  • এবার Service উইন্ডোর ডান পাশ থেকে Shell Hardware Detection-এ ডাবল ক্লিক করম্নন। পর্দায় Shell Hardware Detection Properties ডায়ালগ বক্স আসবে।
  • উক্ত ডায়ালগ বক্সের General ট্যাবে ক্লিক করে Startup types: অপশন ঘরে Disabled সিলেক্ট করে Apply এবং OK করম্নন।

কম্পিউটারে থাকা আপনার গুরুত্বপূর্ণ কোনো ডাটা বা ফাইল ভাইরাসের আক্রমনে নষ্ট বা হারিয়ে গেলে আপনার হার্ড ড্রাইউটি নিয়ে চলে আসুন আমাদের ‘ডাটা রিকভারি স্টেশন’ (Data Recovery Station) এ। আমরা অত্যাধুনিক সব সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের সাহায্যে সুক্ষ্ম পর্যবেক্ষনের দ্বারা নির্দিষ্ট ল্যাবে অভিজ্ঞ ডাটা রিকভারি টিমের মাধ্যমে আপনার ডাটা রিকভার করার চেষ্টা করবো৷ ভাইরাস আক্রমনের ফলে আপনার কম্পিউটারে যদি খুব বেশি সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ফুল উইন্ডোজ ফরমেট দিয়ে দিন। এবং নতুন করে আপডেট উইন্ডোজটি ইন্সটল করুন।

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *